নবীজীর শৈশব ও যৌবন

নবীজীর শৈশব ও যৌবন: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম আরবের মক্কা শহরে। জন্মের আগেই তিনি বাবাকে হারান এবং ৬ বছর বয়সে মাকে হারান। দাদার আদরে বড় হওয়া শিশু মুহাম্মদ (সা.) পরে চাচা আবু তালেবের অভিভাবকত্বে বেড়ে ওঠেন।

শৈশব:

• দুধসাহা: শৈশবে মুহাম্মদ (সা.) বেদুইন পরিবারের কাছে দুধ পান করেন। এই সময় তিনি স্বভাবগতভাবে সৎ, বিশ্বস্ত ও দয়ালু ছিলেন।
• সত্যবাদী: ছোটবেলা থেকেই তিনি সত্যবাদী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর সত্যবাদিতার কারণে তাঁকে ‘আল-আমিন’ (বিশ্বস্ত) উপাধি দেওয়া হতো।
• একাকীত্ব: অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলায় তিনি খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। একাকীত্বে চিন্তাভাবনা করতে ভালোবাসতেন।

যৌবন:

• বণিক: যৌবনে তিনি একজন সফল বণিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সিরিয়া যাত্রার সময় তিনি খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের সাথে দেখা করেন এবং এক ঈশ্বরের উপাসনা সম্পর্কে জানতে পারেন।
• বিবাহ: তিনি খাদিজা (রা.) নামে এক বিধবা ব্যবসায়ীকে বিবাহ করেন। খাদিজা (রা.) তাঁর প্রথম ও একমাত্র স্ত্রী ছিলেন।
• হিরা গুহায় একান্ত: একাকীত্বে চিন্তাভাবনা করার জন্য তিনি হিরা গুহায় যেতেন। একদিন সেখানে জিব্রাইল (আ.) আবির্ভূত হয়ে তাঁকে আল্লাহর রাসূল হিসেবে মনোনীত করেন।

শিক্ষা:

নবীজীর শৈশব ও যৌবনকাল থেকে আমরা শিখতে পারি যে,

• সত্যবাদিতা, বিশ্বস্ততা ও দয়ালুতা জীবনের সফলতার মূল চাবিকাঠি।
• একাকীত্বে চিন্তাভাবনা করা মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।
• আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর আদেশ-নিষেধ পালন করা জীবনের সফলতা নিশ্চিত করে।